মেসপটেমিয়া সভ্যতা

বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচিনতম সভ্যতা হলো মেসপটেমিয়া সভ্যতা। আনুমানিক ৫০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে ইরাকের  টা্গ্রিস ও ইউফ্রেটিস নদীর উর্ভর তীরেঞ্চলে মেসপটেমিয়া সভ্যতার বিকাশ ঘটে। এদের ভিন্ন ভিন্ন নাম থাকলেও এক ভূখন্ডে গড়ে ওঠায় একত্রিত ভাবে এ সভ্যতাসমূহকে বলা…

Advertisement

বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচিনতম সভ্যতা হলো মেসপটেমিয়া সভ্যতা। আনুমানিক ৫০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে ইরাকের  টা্গ্রিস ও ইউফ্রেটিস নদীর উর্ভর তীরেঞ্চলে মেসপটেমিয়া সভ্যতার বিকাশ ঘটে। এদের ভিন্ন ভিন্ন নাম থাকলেও এক ভূখন্ডে গড়ে ওঠায় একত্রিত ভাবে এ সভ্যতাসমূহকে বলা হয় মেসপটেমিয়া সভ্যতা।

এ মেসপটেমিয়া একটি গ্রিক শব্দ। এর অর্থ ২ নদীর তীর। আধুনিক তুরস্ক, ইরাক, ইরান, সিরিয়া রাষ্ট্রগুলো প্রাচিন এ সভ্যতার অংশ ছিলো। তবে এ সভ্যতার বেশিরভাগ অংশ ইরাক অবস্থিত।

মেসপটেমিয়া সভ্যতা গড়ে উঠেছে চারটি সভ্যতা নিয়ে। সুমেরিয়, ব্যাবিলনিয়, অ্যসেরিয় ও ক্যালোডীয়। সুমেরিয় সভ্যতা: মেসপটেমিয়ার সবচেয়ে প্রচিনতম সভ্যতা গড়ে তোলে সুমেরিয়রা।

Advertisement

সুমেরীয় সভ্যতা

সুমেরীয়গণ মেসোপটেমিয়ার সবচেয়ে প্রাচীন সভ্যতা গড়ে তুলেছিল। খ্রিস্টপূর্ব ৪০০০ অব্দে সুমেরিওদের একটি শাখা এলামের পাহাড়ি অঞ্ছল থেকে এসে মেসোপটেমিয়ার দক্ষিণে বসতি গড়ে তোলে।

সুমেরীয়দের প্রধান পেশা ছিল কৃষি। এর জন্য তারা উন্নত সেচ বেবস্থাও গড়ে তুলেছিল। তাদের আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল যেমন জলঘড়ি আবিষ্কার ও চন্দ্র পঞ্জিকার আবিষ্কার এবং তাদের সবচেয়ে বড় আবিস্কার ছিলো চাকার আবিস্কার।

এছাড়াও তাদের নিজস্ব বর্ণমালাও ছিল। তাদের বর্ণমালার নাম ছিল “কিউনিফরম”।

Advertisement

ব্যাবিলনীয় সভ্যতা

অনুমানিক ২০৫০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে মেসপটেমিয়া অঞ্চলে একটি নগর সভ্যতা গড়ে তোলে সিরিয়ার অ্যামেরাইটস জাতি। এ সভ্যতার স্থপতি বলা হয় অ্যামেরাইটস নেতা হাম্বুরাবি কে। পৃথিবীতে প্রথম লিখিত আইন প্রনেতা হিসেবে বিবেচনা করা হয় এ স্থপতিকে।

সুমেরিয়দের অনুকরণে তারাও সাহিত্য রচনা শুরু করে। পৃথিবীতে সবচেয়ে প্রচিনতম মানচিত্র পা্ওয়া যায় ব্যাবিলনে।

অ্যাসেরিয় সভ্যতা

ব্যাবিলন থেকে প্রায় ২০০ মাইল উত্তরে টাইগ্রিস নদির তীর ঘেষে আশুর নামে একটি সমৃদ্ধ শহর গড়ে উঠে। অ্যাসিরীয়রা প্রথম বৃত্তকে ৩৬০ ডিগ্রিতে ভাগ করে। তারাই প্রথম পৃথিবীকে অক্ষাংশ এবং দ্রাঘিমাংশে ভাগ করে।

Advertisement

ইতিহাসে এ অ্যাসিরীয়রা পরিচিত সামরিক জাতি হিসেবে। তারাই প্রথম এমন বাহিনী গঠন করে যারা ছিল লোহার অস্ত্রে সজ্জিত।

ক্যালডিও সভ্যতা

সম্রাট নেবুচাদনেজার কে ক্যালডিও সভ্যতার স্থপতি বলা হয়। ক্যালডিও সভ্যতার অন্যতম অবদান হল ব্যাবিলনের শূন্য উদ্যান। এই শূন্য উদ্যানের কাহিনীটা ছিল এরকম যে, সম্রাট নেবুচাঁদ নেজারের সম্রাজ্ঞী বাগান করতে খূব পছন্দ করতেন।

তার এ উৎসাহ কে কেন্দ্র কেন্দ্র করে সম্রাট নগর দেওয়ানের উপর এক আশ্চর্য সুন্দর বাগান তৈরি করলেন। তার এই শূন্য উদ্যানের জন্য তিনি অমর হয়ে আছেন। ক্যালডিওরাই প্রথম সপ্তাহকে ৭ দিনে ভাগ করে। আবার প্রতিদিনকে ১২ জোড়া ঘণ্টাই ভাগ করার পদ্ধতি ও তারা বের করে। এছাড়াও তারা ১২ টী নক্ষত্র পুঞ্জের সন্ধান পান।

প্রাচিন মিসরিয় সভ্যতা সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন।

Advertisement

One Comment

  1. […] সভ্যতায় মিসরিয়রাই সর্বপ্রথম ১২ মাসে ১ বছর, ৩০ দিনে ১ মাস এই গননা রীতি চালু করে। মিসরিয় বিজ্ঞানিরা ফারাও রাজাদের মৃতদেহ পচনের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য মমি তৈরি করতে শেখেন। […]

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *