ড্রাইভিং লাইসেন্স লিখিত পরীক্ষার সম্ভাব্য প্রশ্ন ও উত্তর ২০২৩ (PDF)

ড্রাইভিং লাইসেন্স করার ক্ষেত্রে প্রথমে আপনাকে একটি লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। লিখিত পরীক্ষায় পাশ করতে দেখে নিন ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার প্রশ্ন ও উত্তরসমূহ।

Advertisement

ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার জন্য কি কি প্রশ্ন পড়তে হবে তা অনেক পরীক্ষার্থী কাছেই একটি জটিল বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষায় সাধারণত লিখিত এবং এমসিকিউ প্রশ্ন দেয়া হয়।

আজকে আমরা ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার সম্ভাব্য কিছু প্রশ্ন ও উত্তর শেয়ার করবো। আশা করি আপনার পরীক্ষায় পাস করতে এগুলো সাহায্য করবে।

ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার প্রশ্ন ও উত্তরসমূহ

ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য লিখিত পরিক্ষায় যেসকল প্রশ্ন আসতে পারে সেই সম্ভাব্য প্রশ্নোত্তর গুলো এখানে উল্লেখ করা হলো:

Advertisement

১. মোটরযান কাকে বলে?

উত্তর: সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ তে মোটরযান অর্থ কোনো যন্ত্রচালিত যানবাহন বা পরিবহনযান যাহা সড়ক, মহাসড়ক বা জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত, নির্মাণ বা অভিযোজন করা এবং যা চালিকাশক্তি অন্য কোনো বাহ্যিক বা অভ্যন্তরীণ উৎস হইতে সরবারহ হয়ে থাকে এবং কোনো কাঠামো বা বডি সংযুক্তি হয় নাই এরূপ চ্যাসিস ও ট্রেইলারও ইহার অন্তর্ভুক্ত হবে।

তবে সংস্থাপিত বা সংযুক্ত রেলের উপর দিয়া চলাচলকারী যারা একচ্ছত্রভাবে কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠান বা কারখানা বা অন্য কোনো নিজস্ব চত্তরে বা অঙ্গনে ব্যবহৃত যানবাহন অথবা মানুষ বা পশু দ্বারা চালিত যানবাহন মোটরযানের অন্তর্ভুক্ত হইবে না।

Advertisement

২. মোটরযান চালনাকালে কী কী কাগজপত্র মোটরযানের সঙ্গে রাখতে হয়?

উত্তর: মোটরযান চালনাকালে নিম্নোক্ত কাগজপত্র মোটরযানের সাথে রাখতে হয়:

  • ড্রাইভিং লাইসেন্স;
  • রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট (ব্লু-বুক);
  • গ. ট্যাক্স-টোকেন;
  • ফিটনেস সার্টিফিকেট (মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়) এবং
  • রুটপারমিট সার্টিফিকেট (মোটরসাইকেল এবং চালক বাতীত সর্বোচ্চ ৭ আসন বিশিষ্ট ব্যক্তিগত যাত্রীবাহী মোটরযানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়);
  • মোটরযানের বাইরের এবং ভিতরের বাতির অবস্থা, ঢাকা (টায়ার কন্ডিশন/ হাওয়া/নাট এলাইনমেন্ট রোটেশন/ স্প্রেয়ার ঢাকা) পরীক্ষা করা।

৩. মোটরযান চালনার আগে করণীয় কাজ কী কী?

Advertisement

উত্তর: মোটরযান চালনার আগে করণীয়গুলো হচ্ছে:

  • মোটরযানে জ্বালানি আছে কি না পরীক্ষা করা, না থাকলে পরিমাণ মতো নেওয়া;
  • রেডিয়েটর ও ব্যাটারিতে পানি আছে কি না পরীক্ষা করা, না থাকলে পরিমাণ মতো নেওয়া;
  • ব্যাটারি কানেকশন পরীক্ষা করা;
  • লুব/ ইঞ্জিন অয়েলের লেবেল ও ঘনত্ব পরীক্ষা করা, কম থাকলে পরিমাণ মতো নেওয়া;
  • মাস্টার সিলিন্ডারের ব্রেক ফ্লুইড, ব্রেক অয়েল পরীক্ষা করা, কম থাকলে নেওয়া;
  • মোটরযানের ইঞ্জিন, লাইটিং সিস্টেম, ব্যাটারি, স্টিয়ারিং ইত্যাদি সঠিকভাবে কাজ করছে কিনা, নাট-বোল্ট টাইট আছে কিনা অর্থাৎ সার্বিকভাবে মোটরযানটি ত্রুটিমুক্ত আছে কিনা পরীক্ষা করা।
  • ব্রেক ও ক্লাচের কার্যকারিতা পরীক্ষা করা;
  • অগ্নি-নির্বাপক এবং ফার্স্ট এইড বক্স মোটরযানে রাখা;
  • মোটরযানের বাইরের এবং ভিতরের বাতির অবস্থা, ঢাকা (টায়ার কন্ডিশন/ হাওয়া/নাট এলাইনমেন্ট রোটেশন/ স্প্রেয়ার ঢাকা) পরীক্ষা করা।

৪. সার্ভিসিং বলতে কী বুঝায় এবং মোটরযান সার্ভিসিংয়ে কী কী কাজ করা হয়?

উত্তর: মোটরযানের ইঞ্জিন ও বিভিন্ন যন্ত্রাংশের কার্যক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য নির্দিষ্ট সময় পরপর যে কাজগুলো করা হয়, তাকে সার্ভিসিং বলে। মোটরযান সার্ভিসিংয়ে করণীয় কাজগুলো হচ্ছে:

  • ইঞ্জিনের পুরাতন লুব অয়েল (মবিল) ফেলে দিয়ে নতুন লুব অয়েল দেওয়া। নতুন লুব অয়েল দেওয়ার আগে ফ্লাশিং অয়েল দ্বারা ফ্লাশ করা। 
  • ইঞ্জিন ও রেডিয়েটরের পানি ড্রেন আউট করে ডিটারজেন্ট ও ফ্লাশিংগান দিয়ে পরিষ্কার করা, অতঃপর পরস্কার পানি নিয়ে পূর্ণ করা।
  • ভারী মোটরযানের ক্ষেত্রে বিভিন্ন থ্রিজিং পয়েন্টে গ্রিজগান নিয়ে নতুন প্লিজ দেওয়া।
  • মোটরযানের স্পেয়ার হইলসহ প্রতিটি চাকাতে পরিমাণমতো হাওয়া নেওয়া।
  • লুব অয়েল (মবিল) ফিল্টার, ফুয়েল ফিল্টার ও এয়ারক্লিনার পরিবর্তন করা।

৫. রাস্তার মোটরযানের কাগজপত্র কে কে চেক করতে পারেন কোন কোন ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তিগণকে মোটরযানের কাগজ দেখাতে বাধ্য?

উত্তর: সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর ধারা ১০৯ অনুযায়ী সাব-ইন্সপেক্টর বা সার্জেন্ট পদমর্যাদার নিচে নয় এমন কোনো পুলিশ অফিসার বা, কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো মোটরযান পরিদর্শক বা অন্য কোনো ব্যক্তির চাহিদা মোতাবেক কোনো চালক মোটরযান থামাতে এবং মোটরযানের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রদর্শন করতে বাধ্য থাকবেন।

৬. মোটরসাইকেলে হেলমেট পরিধান ও আরোহী বহন সম্পর্কে আইন কী?

উত্তর: সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর ধারা-৪৯ (চ) অনুসারে, চালক ব্যতীত মোটরসাইকেলে একজনের অধিক সহযাত্রী বহন করা যাবে না এবং চালক ও সহযাত্রী উভয়কে যথাযথভাবে হেলমেট ব্যবহার করতে হবে।

৭. সড়ক দূর্ঘটনার প্রধান কারণ কী কী?

উত্তর: সড়ক দূর্ঘটনার প্রধান কারণগুলো হচ্ছে অতিরিক্ত আরবিশ্বাস, মাত্রাতিরিক্ত গতিতে মোটরযান চালানো, অননুমোদিত ওভারিটেকিং, অতিরিক্ত যাত্রী ও মালামাল বহন, ইত্যাদি।

৮. মোটরযান দুর্ঘটনায় পতিত হলে মোটরযান চালক, কন্ডাক্টর বা তাদের প্রতিনিধির করণীয় কী?

উত্তর: কোনো সড়ক দুর্ঘটনা ঘটিলে সংশ্লিষ্ট মোটরযান চালক, কন্ডাক্টর বা তাদের প্রতিনিধির করণীয়গুলো নিম্মরূপ:

  • তাৎক্ষনিকভাবে দুর্ঘটনা সম্পর্কে নিকটস্থ থানা এবং ক্ষেত্রমত, ফায়ার সার্ভিস, চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র বা হাসপাতালকে অবহিত করবেন। আঘাতপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা জীবন রক্ষার্থে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিকটস্থ চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র বা হাসপাতালে প্রেরণ ও চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
  • বাংলাদেশ পুলিশ দেশব্যাপী টোল ফ্রি টেলিফোন নম্বর প্রবর্তন করবে, যার মাধ্যমে সড়ক দুর্ঘটনা কবলিত মোটরযানের চালক, কন্ডাক্টর, মালিক, প্রতিষ্ঠান বা পরিচালনাকারী বা তাদের প্রতিনিধি বা তাদের পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি বা যাত্রী বা সড়ক দুর্ঘটনা প্রত্যক্ষকারী কোনো ব্যক্তি দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নম্বরে টেলিফোন করিয়া জরুরি উদ্ধার চিকিৎসা ইত্যাদির জন্য তাৎক্ষণিক সহায়তা চাইতে পারবেন [ সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর ধারা ৬২ (১ ও ২)]

৯. মহাসড়কে যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী মোটরযানের সর্বোচ্চ গতিসীমা কত? এবং শীতকালে কুয়াশাচ্ছন্ন রাস্তার ফালাইট জ্বালানো অবস্থায় মোটরযানের সর্বোচ্চ গতিসীমা কত?

উত্তর: যাত্রীবাহী মোটরযানের সর্বোচ্চ গতি ঘন্টায় ৮০ কিলোমিটার এবং পণ্যবাহী মোটরযানের সর্বোচ্চ গতি ঘন্টায় ৬০ কিলোমিটার। শীতকালে কুয়াশাচ্ছন্ন রাস্তার ফালাইট জ্বালানো অবস্থায় মোটরযানের সর্বোচ্চ গতিসীমা উত্তর: ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার (জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের ২৪তম সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক)।

১০. ড্রাইভিং লাইসেন্স কী?

উত্তর: ড্রাইভিং লাইসেন্স অর্থ কোনো নির্দিষ্ট শ্রেণির মোটরযান চালাইবার জন্য কোনো ব্যক্তিকে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত লাইসেন্স।

১১. পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স কাকে বলে?

উত্তর: পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স অর্থ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত ড্রাইভিং লাইসেন্স, যাহা দ্বারা কোনো ব্যক্তি একজন বেতনভোগী কর্মচারী হিসাবে মোটরযান বা গণপরিবহন চালাইবার অধিকারী হন।

১২. ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ব্যাস কত?

উত্তর: সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ এর ধারা-৬ (২)(ক) অনুযায়ী অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের ক্ষেত্রে বয়স অন্যূন ১৮ (আঠার) বৎসর এবং পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের ক্ষেত্রে বয়স অন্যূন ২১ (একুশ) বৎসর।

১৩. কোন কোন ব্যক্তি ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে? 

উত্তর: সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর ধারা- ১২ (১) অনুযায়ী অসুস্থ, অপ্রকৃতিস্থ, শারীরিক বা মানসিকভাবে অক্ষম, মদ্যপ, অভ্যাসগত অপরাধী বা অন্য কোনো কারণে মোটরযান চালাইতে অযোগ্য হলে এমন ব্যক্তি।

১৪. হালকা মোটরযান কাকে বলে?

উত্তর: হালকা মোটরযান অর্থ এইরুপ কোনো মোটরযান বা মোটরযান ও ট্রেইলারের কম্বিনেশন, যাহার নিবন্ধিত লেডেন ওজন, অথবা কোনো ট্রাক্টর বা রোড রোলার, যাহার আনলেডেন ওজন ৭৫০০ কিলোগ্রামের অধিক নহে।

১৫. মধ্য বা মাঝারি মোটরযান কাকে বলে?

উত্তর: “মধ্যম মোটরযান” অর্থ এইরূপ কোনো মোটরযান বা মোটরযান ও ট্রেইলারের কম্বিনেশন যাহার নিবন্ধিত লেডেন বা বোঝাইকৃত বা ভারসহ ওজন বা মোটরযানের ট্রেইল বা শ্রেণিবন্ধ ওজন, অথবা কোনো লোকোমোটিভ বা রোড রোলার যাহার আনলেডেন বা ভারবিহীন বা অ-বোঝাইকৃত ওজন ৭৫০১ হইতে ১২০০০ কিলোগ্রাম।

১৬. ভারী মোটরযান কাকে বলে?

উত্তর: ভারী মোটরযান অর্থ এইরূপ কোনো মোটরযান ও ট্রেইলরের কম্বিনেশন যাহার নিবন্ধিত লেডেন বা বোঝাইকৃত বা ভারসহ ওজন বা যাহার ট্রেইল বা শ্রেণিবন্ধ ওজন, অথবা কোনো লোকোমোটিভ বা রোড রোলার যাহার আনলেডেন বা ভারবিহীন বা অ-বোঝাইকৃত ওজন ১২,০০০ (বারো হাজার) কিলোগ্রামের অধিক।

১৭. গণপরিবহন কাকে বলে?

উত্তর: গণপরিবহন অর্থ ভাড়ার বিনিময়ে যাত্রী পরিবহণের জন্য ব্যবহৃত বা ব্যবহারের জন্য উপযোগী যে কোনো মোটরযান।

১৮. ট্রাফিক সাইন বা রোড সাইন (চিহ্ন) প্রধানত কত প্রকার ও কী কী?

উত্তর: ট্রাফিক সাইন বা চিহ্ন প্রধানত তিন প্রকার: 

  • বাধ্যতামূলক, যা প্রধানত বৃত্তাকৃতির হয়;
  • সতর্কতামূলক, যা প্রধানত ত্রিভুজাকৃতির হয়;
  • তথ্যমূলক, যা প্রধানত আয়তক্ষেত্রাকার হয়।

১৯. লাল বৃত্তাকার সাইন কী নির্দেশনা প্রদর্শন করে? 

উত্তর: নিষেধ বা করা যাবে না, অবশ্যবর্জনীয় নিদের্শনা প্রদর্শন করে।

২০. নীল বৃত্তাকার সাইন কী নির্দেশনা প্রদর্শন করে? 

উত্তর: করতে হবে যা অবশ্যপালনীয় নির্দেশনা প্রদর্শন করে।

২১. লাল ত্রিভুজাকৃতির সাইন কী নির্দেশনা প্রদর্শন করে? 

উত্তর: সতর্ক হওয়ার নির্দেশনা প্রদর্শন করে।

২২. নীল রঙের আয়তক্ষেত্র কোন ধরনের সাইন?

উত্তর: সাধারণ তথ্যমূলক সাইন।

২৩. সবুজ রঙের আয়তক্ষেত্র কোন ধরণের সাইন?

উত্তর: পথনির্দেশক তথ্যমূলক সাইন, যা জাতীয় মহাসড়কে ব্যবহৃত হয়।

২৪. কালো বর্ডারের সাদা রঙের আয়তক্ষেত্র কোন ধরনের সাইন?

উত্তর: এটিও পথনির্দেশক তথ্যমূলক সাইন, যা মহাসড়ক ব্যতীত অন্যান্য সড়কে ব্যবহৃত হয়।

২৫. ট্রাফিক সিগন্যাল বা সংকেত কত প্রকার ও কী কী?

উত্তর: ট্রাফিক সিগন্যাল ৩ প্রকার। যেমন, বাহুর সংকেত, আলোর সংকেত ও শব্দ সংকেত।

২৬. গ্রাফিক লাইট সিগন্যালের চক্র বা অনুক্রম (Sequence) গুলি কি কি?

উত্তর: লাল-সবুজ-হলুদ এবং পুনরায় লাল।

২৭. প্রশ্ন: লাল, সবুজ ও হলুদ বাতি কী নির্দেশনা প্ৰশন করে?

উত্তর: লাল বাতি জ্বললে মোটরযানকে ‘থানুন লাইন’ এর পেছনে থামায়ে অপেক্ষা করতে হবে, সবুজ বাতি জ্বললে মোটরযান নিয়ে অগ্রসর হওয়া যাবে এবং হলুদ বাতি জ্বললে মোটরযানকে থামানোর জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।

২৮. নিরাপদ দূরত্ব বলতে কী বুঝায়?

উত্তর: সামনের মোটরযানের সাথে সংঘর্ষ এড়াতে পেছনের মোটরযানকে নিরাপদে থামানোর জন্য যে পরিমাণ দূরত্ব বজায় রেখে মোটরযান চালাতে হয় সেই পরিমাণ নিরাপদ দূরত্ব বলে।

২৯. পাকা ও ভালো রাস্তায় ৫০ কিলোমিটার গতিতে মোটরযান চললে নিরাপদ দূরত্ব কত হবে?

উত্তর: ২৫ মিটার।

৩০. পাকা ও ভালো রাস্তার ৫০ মাইল গতিতে মোটরযান চললে নিরাপদ দূরত্ব কত হবে?

উত্তর: ৫০ গজ বা ১৫০ ফুট।

৩১. লাল বৃত্তে ৫০ কি.মি. লেখা থাকলে কী বুঝায়? 

উত্তর: মোটরযানের সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৫০ কি.মি. অর্থাৎ ঘন্টায় ৫০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে মোটরযান চালানো যাবে না।

৩২. নীল বৃত্তে ঘন্টায় ৫০ কি.মি. লেখা থাকলে কী বুঝায়? 

উত্তর: সর্বনিম্ন গতিসীমা ঘণ্টায় ৫০ কি. মি. অর্থাৎ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটারের কম গতিতে মোটরযান চালানো যাবে না।

৩৩. লাল বৃত্তের মধ্যে হর্ণ আঁকা থাকলে কী বুঝায়?

উত্তর: হর্ণ বাজানো নিষেধ।

৩৪. লাল বৃত্তের ভিতরের একটি বড় বাসের ছবি থাকলে কী বুঝায়?

উত্তর: বড় বাস প্রবেশ নিষেধ।

৩৫. লাল বৃত্তে একজন চলমান মানুষের ছবি আঁকা থাকলে কী বুঝায়?

উত্তর: পথচারী পারাপার নিষেধ।

৩৬. লাল ত্রিভুজে একজন চলমান মানুষের ছবি আঁকা থাকলে কী বুঝায়? 

উত্তর: সামনে পথচারী পারাপার, তাই সাবধান হতে হবে।

৩৭. লাল বৃত্তের ভিতর একটি লাল ও একটি কালো মোটরযান থাকলে কী বুঝায়? 

উত্তর: ওভারটেকিং নিষেধ।

৩৮. কোন কোন স্থানে মোটরযানের হর্ণ বাজানো নিষেধ?

উত্তর : নীরব এলাকায় মোটরযানের হর্ণ বাজানো নিষেধ। হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালত বা অনুরূপ প্রতিষ্ঠানসমূহের চতুর্দিকে ১০০ মিটার পর্যন্ত এলাকা নীরব এলাকা হিসাবে চিহ্নিত।

৩৯. ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার আইন, ২০০৫ এর ধারা-৪ অনুযায়ী পাবলিক পরিবহনে ধূমপান করলে শাস্তি কি?

উত্তর: কোনো ব্যক্তি পাবলিক পরিবহনে ধূমপান করিলে তিনি অনধিক তিনশত টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং উক্ত ব্যক্তি দ্বিতীয়বার বা পুনঃ পুনঃ বা একই ধরনের অপরাধ সংঘটন করিলে তিনি পর্যায়ক্রমিকভাবে উক্ত দণ্ডের দ্বিগুন হারে দণ্ডনীয় হইবেন।

৪০. কোন কোন স্থানে ওভারটেক করা নিষেধ? 

উত্তর: যেসব স্থানে ওভারটেক করা নিষেধ এগুলো হচ্ছে:

  • ওভারটেকিং নিষেধ সম্বলিত সাইন থাকে এমন স্থানে;
  • জাংশনে;
  • ব্রিজ/কালভার্ট এর ওপর;
  • সরু রাস্তায়;
  • হাসপাতাল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এলাকায়।

৪১. কোন কোন স্থানে মোটরযান পার্কিং করা নিষেধ?

উত্তর: যেখানে পার্কিং নিষেধ বোর্ড আছে এমন স্থানে, যেমন:

  • জাংশনে, ব্রিজ/কালভার্টের ওপর, সরু রাস্তায়;
  • হাসপাতাল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এলাকায়;
  • পাহাড়ের ঢালে ও ঢালু রাস্তায়;
  • ফুটপাত, পথচারী পারাপার এবং তার আশেপাশে;
  • বাস স্টপেজ ও তার আশেপাশে;
  • রেলক্রসিং ও তার আশেপাশে।

৪২. মোটরযান রাস্তার কোনপাশ দিয়ে চলাচল করবে?

উত্তর: মোটরযান রাস্তার বামপাশ দিয়ে চলাচল করবে। যে রাস্তায় একাধিক লেন থাকবে সেখানে বামপাশের লেনে ধীর গতির মোটরযান, আর ডানপাশের লেনে দ্রুত গতির মোটরযান চলাচল করবে।

৪৩. কখন বামদিক দিয়ে ওভারটেক করা যায়?

উত্তর: যখন সামনের মোটরযান চালক ডানদিকে মোড় নেওয়ার ইচ্ছায় যথাযথ সংকেত দিয়ে রাস্তার মাঝামাঝি স্থানে যেতে থাকবেন, তখনই পেছনের মোটরযানের চালক বামদিক নিয়ে ওভারটেক করতে পারবেন।

৪৪. চলন্ত অবস্থায় সামনের মোটরযানকে অনুসরণ করার সময় কী কী বিষয় লক্ষ্য রাখা উচিত?

উত্তর: চলন্ত অবস্থায় সামনের মোটরযানের নিম্মোক্ত বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখা উচিত:

  • মোটরযানের গতি;
  • সামনের মোটরযান থামার সংকেত দিচ্ছে কি না;
  • সামনের মোটরযান ডানে বামে ঘুরার সংকেত দিচ্ছে কি না;
  • সামনের যান হতে নিরাপদ দূরত্ব বজায় আছে কি না।

৪৫. রাস্তার পাশে সতর্কতামূলক “স্কুল/শিশু” সাইন বোর্ড থাকলে চালকের করণীয় কী?

উত্তর: রাস্তার পাশে স্কুল/শিশু সাইন বোর্ড থাকলে মোটরযানের গতি কমিয়ে রাস্তার দু-পাশে ভালোভাবে দেখে-শুনে সতর্কতার সাথে অগ্রসর হতে হবে। এছাড়া, রাস্তা পারাপারের জন্য কোন শিশু অপেক্ষায় থাকলে তাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

৪৬. মোটরযানের গতি কমানোর জন্য চালক হাত দিয়ে কীভাবে সংকেত দিবেন?

উত্তর: মোটরযানের গতি কমানোর জন্য, চালক তাঁর ডানহাত মোটরযানের জানালা দিয়ে সোজাসুজি বের করে ধীরে ধীরে উপরে-নীচে উঠানামা করাতে থাকবেন।

৪৭. লেভেলক্রসিং বা রেলক্রসিং কত প্রকার ও কী কী?

উত্তর: লেভেলক্রসিং বা রেলক্রসিং ২ প্রকার, যেমন:

  • রক্ষিত রেলক্রসিং বা পাহারাদার নিয়ন্ত্রিত রেলক্রসিং;
  • অরক্ষিত রেলক্রসিং বা পাহারাদারবিহীন রেলক্রসিং।

৪৮. রক্ষিত লেভেলক্রসিংয়ে চালকের কর্তব্য কী?

উত্তর: মোটরযানের গতি কমিয়ে সতর্কতার সাথে সামনে আগাতে হবে। যদি রাস্তার বন্ধ থাকে, তাহলে মোটরযান থামাতে হবে, আর খোলা থাকলে ডানে-বামে ভালোভাবে দেখে অতিক্রম করতে হবে।

৪৯. অরক্ষিত লেভেল ক্রসিংয়ে চালকের কর্তব্য কী? 

উত্তর: মোটরযানের গতি একদম কমিয়ে সতর্কতার সাথে সামনে আগাতে হবে, প্রয়োজনে লেভেল ক্রসিংয়ের নিকট থামাতে হবে। এরপর ডানে বামে দেখে নিরাপদ মনে হলে অতিক্রম করতে হবে।

৫০. বিমানবন্দরের কাছে চালককে সতর্ক থাকতে হবে কেন?

উত্তর: বিমানবন্দরের কাছে চালককে সতর্ক থাকতে হবে কারণ, বিমানের প্রচন্ড শব্দে মোটরযানের চালক হঠাৎ বিচলিত হতে পারেন। তাছাড়া, সাধারণ শ্রবণ ক্ষমতার ব্যাঘাত ঘটতে পারে এবং বিমানবন্দরে ডিভিআইপি বেশি চলাচল করে বিধায় এই বিষয়ে সতর্ক থাকতে হয়।

৫১. মোটরসাইকেল চালক ও আরোহীর হেলমেট ব্যবহার করা উচিত কেন?

উত্তর: মানুষের মাথা শরীরের অন্যান্য অঙ্গের মধ্যে সবচেয়ে বেশি স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। এখানে সামান্য আঘাত লাগলেই মানুষের মৃত্যু ঘটতে পারে। তাই দুর্ঘটনার হাত থেকে মানুষের মাথাকে রক্ষা করার জন্য গুনগতমান সম্পন্ন হেলমেট ব্যবহার করা উচিত।

৫২. প্রশ্ন: মোটরযানের পেছনের অবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য কতক্ষণ পর পর লুকিং গ্লাস দেখতে হবে ?

উত্তর: প্রতি মিনিটে ৬ থেকে ৮ বার।

৫৩. পাহাড়ি রাস্তায় কী কী সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়?

উত্তর: সামনের মোটরযান থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে ১ নং গিয়ারে বা ফার্স্ট পিয়ারে সতর্কতার সাথে ধীরে ধীরে ওপরে উঠতে হবে। পাহাড়ের চূড়ার কাছে নিয়ে আরো ধীরে উঠতে হবে, কারণ চূড়ায় দৃষ্টিসীমা অত্যন্ত সীমিত। নিচে নামার সময় মোটরযানের গতি ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে বিধায় সামনের মোটরযান থেকে বাড়তি দূরত্ব বজায় রেখে নামতে হবে। ওঠা-নামার সময় কোনোক্রমেই ওভারটেকিং করা যাবে না।

৫৪. বৃষ্টির মধ্যে মোটরযানের চালনার বিষয়ে কী কী সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়?

উত্তর: বৃষ্টির সময় রাস্তা পিচ্ছিল থাকায় ব্রেক কম কাজ করে। এই কারণে বাড়তি সতর্কতা হিসাবে ধীর গতিতে (সাধারণ গতির চেয়ে অর্ধেক গতিতে) মোটরযান চালাতে হবে, যাতে ব্রেক প্রয়োগ করে অতি সহজেই মোটরযান থামানো যায়। অর্থাৎ ব্লেক প্রয়োগ করে মোটরযান যাতে অতি সহজেই ঘামানো বা নিয়ন্ত্রণ করা যায়, সেইরূপ ধীর গতিতে বৃষ্টির মধ্যে মোটরযান চালাতে হবে।

৫৫. ব্রিজে ওঠার পূর্বে একজন চালকের করণীয় কী?

উত্তর: ব্রিজ বিশেষ করে উঁচু ব্রিজের অপরপ্রান্ত থেকে আগত মোটরযান সহজে দৃষ্টিগোচর হয় না বিধায় ব্রিজে ওঠার পূর্বে সতর্কতার সাথে মোটরযানের গতি কমিয়ে উঠতে হবে। তাছাড়া, রাস্তার তুলনায় ব্রিজের প্রস্থ অনেক কম হয় বিধায় ব্রিজে কখনো ওভারটেকিং করা যাবে না।

৫৬. পার্শ্ব রাস্তা থেকে প্রধান রাস্তার প্রবেশ করার সময় কী কী সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়? 

উত্তর: পার্শ্ব রাস্তা বা ছোট রাস্তা থোকে প্রধান রাস্তার প্রবেশ করার আগে মোটরযানের গতি কমায়ে, প্রয়োজনে থামায়ে, প্রধান রাস্তার মোটরযানকে নির্বিঘ্নে আগে যেতে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রধান সড়কে মোটরযানের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে সুযোগমত সতর্কতার সাথে প্রধান রাস্তায় প্রবেশ করতে হবে।

৫৭. রাস্তার ওপর প্রধানত কী কী ধরনের রোডমার্কিং অংকিত থাকে?

উত্তর: রাস্তার ওপর প্রধানত ৩ ধরনের রোডমার্কিং অঙ্কিত থাকে, যেমন:

  • ভাঙালাইন, যা অতিক্রম করা যায়;
  • একক অফন্ডলাইন, যা অতিক্রম করা নিষেধ, তবে প্রয়োজন বিশেষ অতিক্রম করা যায়;
  • দ্বৈত অথন্ডলাইন, যা অতিক্রম করা নিষেধ এবং আইনত দণ্ডনীয়। এই ধরনের লাইন দিয়ে গ্লাফিক আইল্যান্ড বা রাস্তার বিভক্তি বুঝায়।

৫৮. জেব্রা ক্রসিংয়ে চালকের কর্তব্য কী?

উত্তর: জেব্রা ক্রসিংয়ে পথচারীদের অবশ্যই আগে যেতে দিতে হবে এবং পথচারী যখন জেব্রা ক্রসিং দিয়ে পারাপার হবে তখন মোটরযানকে অবশ্যই তার আগে থামাতে হবে। জেব্রা ক্রসিংয়ের ওপর মোটরযানকে থামানো যাবে না বা রাখা যাবে না।

৫৯. কোন কোন মোটরযানকে ওভারটেক করার সুযোগ দিতে হবে?

উত্তর : যে মোটরযানের গতি বেশি, অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস ইত্যাদি জরুরি সার্ভিস, ডিভিআইপি মোটরযান ইত্যাদিকে। 

৬০. হেড লাইট ফ্লাশিং বা আপার ডিপার ব্যবহারের নিয়ম?

উত্তর: শহরের মধ্যে সাধারণত ‘লো বিম বা ডিপার বা মৃদু বিন’ ব্যবহার করা হয়। রাতে কাছাকাছি মোটরযান না থাকলে অর্থাৎ বেশিদুর পর্যন্ত দেখার জন্য হাইওয়ে ও শহরের বাইরের রাস্তার হাই আপার বা তীক্ষ্ণ বিম’ ব্যবহার করা হয়।

তবে, বিপরীত দিক থেকে আগত মোটরযান ১৫০ মিটারের মধ্যে চলে আসলে হাই বিম নিভিয়ে লো বিম জ্বালাতে হবে। অর্থাৎ বিপরীত দিক হতে আগত কোনো মোটরযানকে পার হওয়ার সময় লো বিম জ্বালাতে হবে।

৬১. মোটরযানের ব্রেক ফেইল করলে করণীয় কী?

উত্তর: মোটরযানের ব্রেক ফেল করলে প্রথমে অ্যাক্সিলারেটর থেকে পা সরিয়ে নিতে হবে। ম্যানুয়াল শিয়ার মোটরযানের ক্ষেত্রে গিয়ার পরিবর্তন করে প্রথমে দ্বিতীয় গিয়ার ও পরে প্রথম গিয়ার ব্যবহার করতে হবে। এর ফলে মোটরযানের গতি অনেক কমে যাবে।

এই পদ্ধতিতে মোটরযান থামানো সম্ভব না হলে রাস্তার আইল্যান্ড, ডিভাইডার, ফুটপাত বা সুবিধামত অন্যকিছুর সাথে ঠেকিয়ে মোটরযান থামাতে হবে। ঠেকানোর সময় যানমালের ক্ষয়ক্ষতি যেনো না হয় বা কম হয় সেইদিকে সজাগ থাকতে হবে।

৬২. মোটরযানের চাকা ফেটে গেলে করণীয় কী?

উত্তর: মোটরযানের ঢাকা ফেটে গেলে মোটরযান নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে। এই সময় মোটরযানের চালককে স্টিয়ারিং দৃঢ়ভাবে ধরে রাখতে হবে এবং অ্যাক্সিলারেটর থেকে পা সরিয়ে ক্রমান্বয়ে গতি কমিয়ে আস্তে আস্তে ব্রেক করে মোটরযান থামাতে হবে। চলন্ত অবস্থায় মোটরযানের চাকা ফেটে গেলে সাথে সাথে ব্রেক করা যাবে না। এতে মোটরযান নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে।

৬৩. হ্যাজার্ড বা বিপদ সংকেত বাতি কী? 

উত্তর: প্রতিটি মোটরযানের সামনে ও পিছনে উভয় পাশের কর্ণারে একজোড়া করে মোট দুজোড়া ইন্ডিকেটর বাতি থাকে। এই চারটি ইন্ডিকেটর বাতি সবগুলো একসাথে জ্বললে এবং নিভলে তাকে হ্যাজার্ড বা বিপদ সংকেত বাতি বলে। বিপজ্জনক মুহূর্তে, মোটরযান বিকল হলে এবং দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় এই বাতিগুলো ব্যবহার করা হয়।

৬৪. মোটরযানের ড্যাশবোর্ডে কী কী ইন্সট্রুমেন্ট থাকে?

উত্তর: মোটরযানের ড্যাশবোর্ডে যেসব ইন্সট্রুমেন্ট থাকে এগুলো হলো:

  • স্পিডোমিটার- মোটরযান রুত বেগে চলছে তা দেখায়;
  • খ. ওডোমিটার- তৈরির প্রথম থেকে মোটরযান কত কিলোমিটার বা মাইল চলছে;
  • টিলমিটার- এক ট্রিপে মোটরযান কত কিলোমিটার/মাইল চলে তা দেখায়;
  • টেম্পারেচার গেজ ইঞ্জিনের তাপমাত্রা দেখায়;
  • ঙ. ফুয়েল গেজ-মোটরযানের তেলের পরিমাণ দেখায়।

৬৫. মোটরযানে কী কী লাইট থাকে?

উত্তর: মোটর যানে হেড লাইট, পার্কিং লাইট, ব্রেক লাইট, রিডার্স লাইট, ইন্ডিকেটর লাইট, ফগ লাইট, এবং নম্বর প্লেট লাইট থাকে

৬৬. পাহাড়ি ও ঢালু রাস্তায় মোটরযান কোন গিয়ারে চালাতে হয়? 

উত্তর: ফার্স্ট গিয়ারে। কারণ ফার্স্ট গিয়ারে মোটরযানে ইঞ্জিনের শক্তি বেশি হয়।

৬৭. মোটরযানের সামনে ও পিছনে লাল রঙের ইংরেজি “L” অক্ষরটি বড় আকারে লেখা থাকলে এর দ্বারা কী বুঝায়? 

উত্তর: এটি একটি শিক্ষানবিশ ড্রাইভার চালিত মোটরযান। এই মোটরযান হতে সাবধান থাকতে হবে।

৬.  শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে মোটরযান চালানো বৈধ কী ?

উত্তর: ইনসট্রাক্টারের উপস্থিতিতে ডুয়েল সিস্টেম (ডাবল স্টিয়ারিং ও ব্রেক) সম্বলিত মোটরযান নিয়ে সামনে ও পিছনে “I” লেখা প্রদর্শন করে নির্ধারিত এলাকায় চালানো বৈধ।

৬৯. ফোর হুইল ড্রাইভ মোটরযান বলতে কী বুঝায়?

উত্তর: সাধারণত ইঞ্জিন হতে মোটরযানের পেছনের দু-চাকায় পাওয়ার (ক্ষমতা) সরবরাহ হয়ে থাকে। বিশেষ প্রয়োজনে যে মোটরযানের চারটি চাকায় (সামনের ও পিছনের) পাওয়ার সরবরাহ করা হয়, তাকে ফোর হুইল ড্রাইভ মোটরযান বলে।

৭০. ফোর হুইল ড্রাইভ কখন প্রয়োগ করতে হয়? 

উত্তর: ভালো রাস্তাতে চলার সময় শুধুমাত্র পেছনের দু-চাকাতে ড্রাইভ দেওয়া হয়। কিন্তু পিচ্ছিল, কাঁদাযুক্ত রাস্তায় চলার সময় ডার ঢাকাতে ড্রাইভ দিতে হয়।

সংক্ষেপে উত্তর – ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার প্রশ্ন ২০২৩

ক. লাল বৃত্তের মধ্যে হর্ন আঁকা থাকলে কি বোঝায়?
উঃ হর্ন বাজানো নিষেধ

খ. ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন বয়স কত?
উঃ ১৮ বছর

গ. গাড়ি রাস্তার কোন পাশ দিয়ে চলাচল করবে?
উঃ বাম পাশ দিয়ে

ঘ. ট্রাফিক সাইন কত প্রকার?
উঃ ৩ প্রকার

ঙ. গাড়িতে সাধারণত কত ভোল্টের ব্যাটারি ব্যবহারিত হয়?
উঃ ১২ভোল্টের ব্যাটারি

চ. লেভেল ক্রসিং বা রেল ক্রসিং কত প্রকার?
উঃ ২ প্রকার

BRTA ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার MCQ প্রশ্ন

ক. কোন জায়গায় অবশ্যই হর্ন বাজাতে হবে?
১. গোল চত্বরে
● অন্ধ বাঁকে
৩. ইউ টার্নের নিকট
৪. হাসপাতাল

খ. সাইলেন্সার এর কাজ কি?
● শব্দকে নিয়ন্ত্রণ করা
২. ধোঁয়া নির্গমন করা
৩. বায়ু দূষণমুক্ত করা
৩. ইঞ্জিনের গমন বাতাস বের করা

গ. গোল চত্বরে তুলে গাড়ি চালানোর নিয়ম-
১. সুযোগ মত বের হয়ে যান
● ডান দিক থেকে আগত গাড়িকে প্রাধান্য দিন
৩. বাম দিকের গাড়ি আগে যেতে দিন
৪. যেদিকে মোর ঘুরাবেন সেদিকে সিগনাল দিন

ঘ. গাড়ি চালানো অবস্থায় ট্রাফিক সিগনালে হলুদ বাতি জ্বলতে দেখলে-
১. দ্রুত গতিতে গাড়ি চালিয়ে যেতে হবে
● থামার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে
৩. গাড়ির স্টার্ট বন্ধ করতে দিতে হবে
৪. আস্তে আস্তে এগিয়ে যেতে হবে

ঙ. গণ কুয়াশার মধ্যে রাস্তায় গাড়ি চালাইতে হেডলাইট জ্বালাইতে হয় কেন?
১. রাস্তা দেখিবার জন্য
● গাড়ির অবস্থান বোঝানোর জন্য
৩. ডানে মোর নেবার জন্য
৪. ওভারটেক করার জন্য

চ. ড্রাইভিং লাইসেন্স বিহীন অবস্থায় গাড়ি চালানোর শাস্তি কি?
১. ২৫,০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা
● ২০,০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা
৩. ৩০,০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা
৪. ৩৫,০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা

ছ. টেম্পারেচার মিটারে ইঞ্জিনের কি নির্দেশ করে?
● ইঞ্জিনের কার্যকারী তাপমাত্রা
২. গিয়ার বক্সের কার্যকারিতা তাপমাত্রা
৩. রেডিয়েটরের কার্যকারী তাপমাত্রা
৪. গাড়ির কার্যকারী তাপমাত্রা

জ. গাড়ি দুর্ঘটনা ঘটলে সর্বপ্রথম দায়িত্ব কি?
১. নিকটস্থ থানায় খবর নেওয়া
২. দুর্ঘটনা কবলিত গাড়িটি নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া
৩. পালিয়ে যাওয়া
● আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা

ইঞ্জিন মেকানিজম সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর – ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার প্রশ্ন ২০২৩

ক. ইঞ্জিন সাধারণত কত প্রকার?
উঃ ২ প্রকার

খ. পেট্রোল ইঞ্জিনের প্রতি সিলিন্ডারে স্পার্ক প্লাগ থাকে কয়টি?
উঃ ১টি

গ. ইঞ্জিন ভাল্ব কত প্রকার?
উঃ ২ প্রকার

ঘ. ব্রেক মাস্টার সিলিন্ডারে ব্রেক অয়েলের লেভেল কমে থাকলে কি হতে পারে?
উঃ ব্রেক ফেল হতে পারে

ঙ. গাড়ির বিয়ের পরিবর্তনের সময় অবশ্যই-
উঃ ক্লাস চাপতে হবে

চ. পিস্টন রিং কতো প্রকার?
উঃ ২ প্রকার

Advertisement

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *