অর্থের সময় মূল্যের সূত্র | অর্থের সময় মূল্য (এইচএসসি-অনার্স)

এই লেসনে আমি আলোচনা করতে যাচ্ছি, অর্থের সময়মূল্য অধ্যায়ে ব্যবহৃত বিভিন্ন সূত্রাবলী বা ফর্মুলা নিয়ে। এইচএসসি ও অনার্স (হিসাববিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা)-য় এ অধ্যায়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, অর্থের সময় মূল্য ধারণা ছাড়া ফিন্যান্স বিষয়টি একদমই অচল।…

Advertisement

এই লেসনে আমি আলোচনা করতে যাচ্ছি, অর্থের সময়মূল্য অধ্যায়ে ব্যবহৃত বিভিন্ন সূত্রাবলী বা ফর্মুলা নিয়ে। এইচএসসি ও অনার্স (হিসাববিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা)-য় এ অধ্যায়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, অর্থের সময় মূল্য ধারণা ছাড়া ফিন্যান্স বিষয়টি একদমই অচল। এই অধ্যায়টি ফিন্যান্সের মৌলিক অধ্যায়। তাই, অন্যান্য অধ্যায় পড়ার আগে, অবশ্যই এই অধ্যায় দিয়েই শুরু করতে হবে।

ফিন্যান্স বা অর্থায়ন কাকে বলে

এককালীণ অর্থ ও কিস্তির অর্থের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। মনে করুন, আপনি কোন ব্যাংকে আজ 1,00,000 টাকা জমা রাখলেন। এবং আপনার বন্ধু কিরন এই মাস থেকে প্রতি মাসের শেষে 8,333 টাকা করে এক বছরে 1,00,000 টাকা জমা করল। এখানে আপনার জমাকৃত টাকাটি হলো এককালীণ অর্থ, অপরদিকে আপনার বন্ধুর জমাকৃত টাকাটি হলো, কিস্তির অর্থ। তাই, এ 2 ধরণের অর্থের ভবিষ্যত বা বর্তমান মূল্য নির্ণয় করতে আলাদা সূত্রের প্রয়োজন হবে।

Advertisement

অর্থের ভবিষ্যত মূল্য নির্ণয়ের সূত্র/ ফর্মুলা

এখানে সূত্রে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রতীকসমূহঃ

FV= Future Value

PV= Present Value

Advertisement

i= Interest rates

n= Number of years

P= Principal Amount

Advertisement

A= Annuity [ A due = Annuity Due ]

এককালীণ অর্থের ভবিষ্যত মূল্য নির্ণয়

ভবিষ্যত মূল্যের সূত্র

কিস্তির ভবিষ্যত মূল্য নির্ণয়

যখন বছরের শেষে কিস্তির অর্থ পরিশোধ করা হয় এবং ১ বার সুদ গণনা করা হয়, এই ফমূলার মাধ্যমে ভবিষ্যত মূল্য নির্ণয় করা হবে।

কিস্তির ভবিষ্যত মূল্যের সূত্র

কিন্তু যদি, একই অবস্থায় কিস্তির অর্থ বছরের শুরুতে প্রদান করা হয়, সূত্রটি পরিবর্তন হবে। এই ক্ষেত্রে সূত্রের শেষে (1 + i) গুন করতে হবে।

কিস্তির ভবিষ্যত মূল্যের সূত্র

এবার, উপরে বর্ণিত এই দুই ধরণের কিস্তির সাথে আরা ১টি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে, তা হচ্ছে কিস্তির মেয়াদ। যদি বছরে ১ বারের বেশি কিস্তি বা সুদ গণনা করা হয়ঃ

যেমন মাসিক কিস্তি হলে, বছরে মোট ১২টি কিস্তি ও ১২ বার সুদ গণনা করা হবে।

দ্বিমাসিক কিস্তি হলে, বছরে মোট  ৬টি কিস্তি ও ৬ বার সুদ গণনা করা হবে।

ত্রৈমাসিক কিস্তি হলে, বছরে মোট  ৪ টি কিস্তি ও ৪ বার সুদ গণনা করা হবে।

এবং ষাম্মাসিক কিস্তি হলে, বছরে মোট  ২ টি কিস্তি ও ২ বার সুদ গণনা করা হবে।

এক্ষেত্রে বছরে যতটি কিস্তি দেয়া হবে, কিস্তির সংখ্যাকে Multiple বা (m) ধরা হয়। উপরের 1 নং সূত্রের i কে m দ্বারা ভাগ ও n কে গুণ করতে হবে।

কিস্তির ভবিষ্যত মূল্যের সূত্র

যদি, Annuity Due হয় (সময়ের/মাসের শুরুতে কিস্তি), সূত্রটি হবে।

কিস্তির ভবিষ্যত মূল্যের সূত্র

অর্থের বর্তমান মূল্য নির্ণয়ের সূত্র/ ফর্মুলা

এককালীণ অর্থের বর্তমান মূল্য

বর্তমান মূল্যের সূত্র
বর্তমান মূল্যের সূত্র

কিস্তির বর্তমান মূল্য নির্ণয়

কিস্তির বর্তমান মূল্যের সূত্র
কিস্তির বর্তমান মূল্যের সূত্র
বিলম্বিত কিস্তির বর্তমান মূল্য
কিস্তির বর্তমান মূল্যের সূত্র
Advertisement

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *